Pet Dewrming

বিড়ালের কৃমি সমস্যা ও প্রতিকার

বিড়ালের কৃমি সমস্যা ও প্রতিকার

বিড়ালের কৃমি সমস্যা ও প্রতিকার

আমাদের পোষা প্রাণী পালতে গিয়ে একটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা হলো পরজীবী বা কৃমি। কৃমি এক ধরনের পরজীবী যা প্রাণীর ওপর নির্ভর করে জীবন ধারণ করে। তারা প্রাণির অন্ত্রে, ফুসফুসে, লিভারে, চোখে, চামড়ায় বাস করে ও পশুর হজমকৃত খাবারে ভাগ বসিয়ে দেহের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অনেক কৃমি দেহের রক্ত চুষে ও আমিষ খেয়ে প্রানীকে দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন করে ফেলে।

কৃমি হওয়ার কারনসমুহ :

দেহে কৃমি থাকলে বিড়াল অসুস্থ হয়ে পড়ে আর তাই একে প্রতিরোধ করা খুবই জরুরী। বিভিন্ন কারনে কৃমি হতে পারে। যেমন-
  • কৃমির ডিমযুক্ত মাটি এবং গাছ খাওয়ার মাধ্যমে।
  • কৃমির ডিমযুক্ত মলের মাধ্যমে।
  • বিড়ালের গায়ে Flea থাকলে এবং তা পাকস্থলিতে গেলে।
  • মা বিড়ালের যদি কৃমি থাকে তাহলে তার দুধ খেলে বাচ্চাদের কৃমি হয়।
  • ইঁদুর ও পাখি শিকার করে তা খেলে।
সুতরাং কৃমি যাতে না হয় তাই বিড়ালকে আলাদা যত্ন নিতে হবে। কাঁচা মাংস, মাটি যাতে না খায় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, Flea মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।

পরজীবী সাধারণত দুই ধরনের-

১. দেহের ভেতরের পরজীবী
২. দেহের বাইরের পরজীবী।
এখন কথা হলো কৃমি হাত থেকে প্রাণিকে বাচাঁতে হলে আমাদের প্রাথমিক কিছু প্রদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের ছাগলগুলোকে কৃমি বা পরজীবী থেকে মুক্ত রাখার উপায়গুলো হচ্ছে-
১) বাসস্থানের জন্য নির্ধারিত স্থানের মাটি শুষ্ক হওয়া প্রইয়োজন।
২) ঘরের আশপাশে যেন বৃষ্টির পানি এবং অন্যান্য বর্জ্য জমে না থাকে ।
৩) প্রানির মলমূত্র ও আবর্জনা অল্প সমযয় পরপর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে।
৫) ঘরের অনেক দূরে মলমূত্র ও আবর্জনা পুঁতে রাখতে হবে।
৬) বাসস্থান প্রতিদিন আদর্শ ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে এবং জীবাণুনাশক মেশানো পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৭) তিন মাস অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ খাওইয়াতে হবে।।

 

দেহের ভেতরের কৃমি থাকলে বুঝবেন কি করে?

* যদি অনেক কৃমি থাকে তাহলে পেট ফুলে থাকবে।

* বিড়ালের ডায়রিয়া হয়।

*অনেক সময় টয়লেটের সাথে কৃমি বের হতে দেখা যায়।

* বমি হবে, বমির সাথেও কৃমি বের হতে পারে।

* খাবারে অরুচি, কিছু খেতে চাইবে না।

* দিনে দিনে শুকিয়ে যাবে।

* কৃমি থাকলে পেটে ব্যাথা হবে,এজন্য বিড়াল ডাকাডাকি করতে থাকে।

*পায়খানার মধ্যে কৃমি দেখা যায় এবং মলদ্বার (anus) এর কাছে দেখা যায়।

*বিড়াল বারবার anus চাটে।

*পেট ফুলে যায়।

*ওজনহীনতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

উপরোক্ত লক্ষনগুলো দেখলে বুঝতে হবে কৃমি হয়েছে –

এই লক্ষনগুলো দেখলে বোঝা যায় বিড়ালের কৃমি হয়েছে। তখন বিড়ালকে Deworming অর্থাৎ কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।তবে সবসময় Vet এর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ানো উচিৎ। তাই Vet এর পরামর্শ অনুযায়ী প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর বিড়ালকে Deworming  করলে বিড়াল কৃমিমুক্ত থাকে।
  • Deworming ট্যাবলেট সমূহ.........

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *